সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

সেমিফাইনালে পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক:

বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে পাকিস্তান। ফলে জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পাওয়া জয় নিয়েই দেশে ফিরতে হবে টাইগারদের।

জিতলেই নিশ্চিত সেমিফাইনাল, হারলেই নিশ্চিত বিদায়; এমন সমীকরণ সামনে রেখে আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাবধানী শুরু করে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে সংগ্রহ করে ফেলে ৫৬ রান। অবশেষে ১১তম ওভারে এসে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে ফেরান নাসুম আহমেদ। ৩৩ বলে ২৫ রান করেন বাবর।

দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরান ইবাদত হোসেন। তৃতীয় উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ ১৫তম ওভারে, ১১ বলে ৪ করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মোহাম্মে নওয়াজ। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করেই রাখে পাকিস্তান।

তরুণ মোহাম্মদ হারিস আজও খেলতে থাকেন আগ্রাসীভাবে। ১৭তম ওভারে তাকে শিকার করেন সাকিব আল হাসান। ততক্ষণে ১৮ বল থেকে ৩১ রান করে ফেলেছেন হারিস। তবে ইতোমধ্যেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে ইফতেখার আহমেদ্ব মুস্তাফিজের বলে আউট হলেও পাকিস্তানের জয়ের পথে বাঁধা হতে পারেনি। ১১ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় পাকিস্তান।

ডু অর ডাই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। সৌম্য সরকার আজ একাদশে ফিরলেও অপরিবর্তিত থাকে ওপেনিং জুটি। তবে ওপেনিংয়ে নেমেও আগের ম্যাচের মতো বড় ইনিংস উপহার দিতে পারেননি লিটন দাস। আজ ফিরেছেন ৮ বল থেকে মাত্র ১০ রান করে। তার বিদায়ে দলীয় ৩ ওভারেই ২১ রানে ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি। ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে আসেন সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে একাদশে না থাকলেও আজ ফের একাদশে ফিরেন এই অলরাউন্ডার।

সৌম্য-শান্তের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ। আর ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আসে ৭০ রান। তবে এর পরেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরপর দুই বলে ফিরে যান সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান। ১১তম ওভারে শাদাব খানের জোড়া শিকার হয়ে ফিরেছেন দু’জন। সৌম্য সরকার ১৭ বল থেকে ২০ রান করে ফিরলে শান্তের সাথে তার ৪৭ বলে ৫২ রানের জুটি ভাঙে। এরপর কোনো রান করেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান।

পরের ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হাসান শান্ত। তবে এরপর ইনিংস বড় করতে পারেননি, ফিরেছেন ৪৮ বল থেকে ৫৪ রান করেই। ১৬তম ওভারে ১০০ রানের গণ্ডি পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির শিকার হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আউট হওয়ার আগে ১০ বল থেকে করেন মাত্র ৫ রান। কোনো রান না করেই ৩ বল খেলে নুরুল হাসান সোহানও মোসাদ্দেকের পথ ধরেন।

১৭, ১৮ ও ১৯তম ওভারে মাত্র ১০ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। এর মাঝে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তবে শেষ ওভারে ১১ রান আসলে ১২৭ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৭ রান এসেছে স্কোরবোর্ডে। শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট। শাদাব খানের দখলে যায় ২ উইকেট।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877